December 23, 2024, 12:56 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার জলই শালসিড়ি ইউনিয়নের নয়নীব্রুরজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ সেকান্দার হায়াত কতৃর্ক চতুর্থ শ্রনীর ছাত্রী ধর্ষণ, সন্ত্রসীবাহিনীদের কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা এবং বিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাধ সহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ে জন্য আমাদের অনুসন্ধানি টিম রংপুর বিভাগীয় কার্যলয় প্রথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পৌছে।
বিভাগীয় প্রথমিক শিক্ষা অফিস সকাল ৯ টায় খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয় সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে।শুধু তাই নয় অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তাগন ধীর গতিতে আসতে দেখা যায়। অফিসের কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ ইকবাল হোসেন(ডি ডি) মূলত তিনটি অফিসে সময় দেন বলে ব্যস্ত থাকায় তাকে বিকেলের আগে পাওয়া যায়নি।
আমাদের অনুসন্ধানি টিম অপেক্ষা রত অবস্হায় থাকলে তাদের চোঁখে ধরা পড়ে বহিরাগত কাউকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে।বিষয়টি আমাদের টিম এগিয়ে গেলে তারা সেখানে থেকে কেটে পড়ে।কিন্তু শিক্ষা অফিসের প্রায় নানান যায়গায় ফেনসিডিলের খালি বতল সহ বিয়ার ও গাজা ও অন্যন্য মাদকদের উদচিষ্ট অংশ বিভিন্ন যায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় খন্দকার মোঃ ইকবাল হোসেন(ডি ডি) এর সাথে কথা হলে অফিস কম্পাউন্ডে মাদকসেবীদের উপস্থিতি ও পঞ্চগ জেলার বোদা উপজেলার সেই আলোচিত প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
অন্যদিকে অনুসন্ধানি তথ্য মতে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগকৃত ফাইল অনেক আগেই ডিডির হাতে পৌছাননোর কথা।তবে পঞ্চগড় জেলার দায়িত্বে থাকা উক্ত অফিসের শিক্ষা অফিসার মোর্শেদুল করিম ( পিএ) ডেকে এমন অভিযোগের ব্যাপারে খন্দকার মোঃ ইকবাল হাসান (ডি ডি) তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
আমাদের টিম সেখান থেকে চলে আসার ১০ মিনিট পরেই (ডি ডি) আমাদের টিমকে ফোন করে জানান বিষয়টি অনেক আগেই মোর্শেদুল করিমের হাতে এসেছে এবং এর জন্য বিভাগীয় একটি মামলাও করা হয়েছে।তবে কেন বা কি কারণে উক্ত তদন্ত ফাইলটি (ডি ডির) নজরে তাৎক্ষনিক আনতে ব্যর্থ হয়েছে? পর্যবেক্ষণ এবং স্কুল সংশ্রিষ্টরা মনে করছেন উক্ত শিক্ষক কোন কোন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে অনৈতিক মেনেজ করে এই তদন্তকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেন।
এছাড়াও একটি প্রথমিক শিক্ষা অফিসের চতুরপার্শে এমন মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকা নিয়ে (ডিডিকে) প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “আমরা মাদকের বিষয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনি কে মৌখিক ভাবে অবহিত করেছি এবং খুব সহসা আমরা এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।” তাদের দিক দিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে আস্শাস প্রধান করেন।
উল্লেখ,শিক্ষা অফিসে সেবা নেওয়া অনেকেই ডিডিকে না পেয়ে চলে গেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এব্যপারে (ডি ডি) বলেন আমাকে তিনটি অফিসের প্রধান হিসেবে কাজ করতে হয়, তিনি এই অফিসে অস্হায়ী ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।যার ফলে তাকে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কাজ করতে হয়।
চলবে…..